পলিব্যাগ বন্ধে ১ নভেম্বর থেকে কঠোর মনিটরিং
সরকার পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষার বিষয় বিবেচনা করে পলিব্যাগের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে বাজার ও দোকানগুলোতে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) পাট মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “পলিথিন বন্ধের পাশাপাশি পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। যদি পাটের সংকট দেখা দেয়, প্রয়োজনে রপ্তানি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, নভেম্বরের পর থেকে প্রতিটি খাতে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং আইনের মাধ্যমে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “সুপারশপসহ সব ধরনের মার্কেটে পলিথিন ব্যবহারের ওপর নজরদারি জোরদার করা হবে এবং পলিথিন উৎপাদনেও কঠোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে আমাদের পরিবেশ এবং নিজের স্বাস্থ্যের জন্য পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে।”
সামনে জিআই পণ্যের তালিকায় ‘গোল্ডেন ফাইবার অফ বাংলাদেশ’ নামে পাটকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।