যানজট নিরসনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ প্রশংসিত: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রশংসা কুড়িয়েছে। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, “সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থী ও যুবসমাজের সঠিক প্রশিক্ষণ ও অংশগ্রহণ সড়ক দুর্ঘটনা, বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) পালিত ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সবার অংশগ্রহণের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “নিরাপদ ও উন্নত সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের অন্যতম ভিত্তি। সড়কে দুর্ঘটনা রোধে আইন প্রয়োগ ও জনসচেতনতা বাড়াতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।”
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “মোটরযানের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সড়ক সম্প্রসারণের ফলে দুর্ঘটনাও বাড়ছে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবকাঠামো উন্নয়ন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সবার সচেতনতা বাড়াতে হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, সড়ক দুর্ঘটনার ফলে মানুষ শুধু শারীরিক বা মানসিক ক্ষতিই নয়, বরং অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। সড়কে নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ট্রাফিক সাইন ও সিগন্যাল স্থাপন, এবং নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গাড়িচালক ও সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মালিক, শ্রমিক, যাত্রী এবং পথচারীদের সবাইকে আইনের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।” তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা অর্ধেকে কমানোর লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এবারের জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের প্রতিপাদ্য “ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার” যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।