শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রগতির ইঙ্গিত জেলেনস্কির

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রগতির ইঙ্গিত জেলেনস্কির

52 / 100 SEO Score

ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনা, জেলেনস্কি শান্তি আলোচনা, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি—এই তিনটি ইস্যুকে কেন্দ্র করেই নতুন করে আলোচনার অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তিবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং তার জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে তার ‘খুবই গঠনমূলক’ একটি ফোনালাপ হয়েছে।

জেলেনস্কি বলেন, এই ফোনালাপে মূলত আলোচনায় এসেছে—যদি কোনো সম্ভাব্য শান্তিচুক্তি হয়, তাহলে কীভাবে রাশিয়াকে সেই চুক্তি মানতে বাধ্য করা যায় এবং কীভাবে বাস্তবসম্মত ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তিনি জোর দিয়ে জানান, ইউক্রেন প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে অটল।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি শহর থেকে এই ফোনালাপে তারা যুক্ত হন। সেখানে তারা টানা তৃতীয় দিনের মতো রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তি এবং মার্কিন উদ্যোগের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করছেন। তবে এসব আলোচনার পরও মস্কোর পক্ষ থেকে এখনো কোনো বড় ধরনের ছাড় বা নমনীয়তার লক্ষণ স্পষ্ট হয়নি; বরং ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে রাশিয়ার ব্যাপক বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)–এ দেওয়া পোস্টে জেলেনস্কি লিখেছেন, প্রকৃত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৎ ও ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

তিনি আরো জানান, আলোচনায় তারা বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন—বিশেষ করে এমন সব দিক, যা যুদ্ধক্ষেত্রে রক্তপাত কমাতে, ভবিষ্যতে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ নতুন আগ্রাসনের হুমকি দূর করতে এবং ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতে সহায়তা করতে পারে।

তবে এখন পর্যন্ত এসব আলোচনার বিস্তারিত শর্ত, প্রস্তাবিত কাঠামো কিংবা সম্ভাব্য সময়সূচি প্রকাশ করা হয়নি। কিয়েভের বার্তা পরিষ্কার—যে কোনো শান্তিচুক্তি হতে হবে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে, আর সেই চুক্তি মানতে রাশিয়াকে বাধ্য করার জন্য প্রয়োজন কঠোর কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক চাপের সমন্বিত প্রয়োগ।

CATEGORIES
TAGS
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )