
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি, শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা, কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা— উত্তরের সীমান্তঘেঁষা এই জেলায় হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। তাপমাত্রা দ্রুত নিম্নমুখী হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে-খাওয়া দিনমজুর, নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ এবং নদ–নদী তীরবর্তী এলাকার হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল বাসিন্দারা।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ বলে জানিয়েছেন রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্তৃপক্ষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্বও বেড়েছে, ভোর থেকে বেলা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না বললেই চলে।
তীব্র শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে প্রতিদিনের মতোই ঘর থেকে বের হচ্ছেন খেটে–খাওয়া মানুষজন। ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের দিনমজুর মানিক মিয়া (৫৫) বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে খুব ঠাণ্ডা পড়ছে, কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। কাজে বের হতে কষ্ট হয়, কিন্তু ঘরে বসেও থাকা যায় না।’
চরমাধবরাম এলাকার কৃষিশ্রমিক সেকেন্দার আলী (৬০) বলেন, ‘ঠাণ্ডা এত বেশি যে ভোরে ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। দিন গড়াতেই কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা আরো বাড়ে। হামরা বয়স্ক মানুষ, এমন ঠাণ্ডায় মাঠে কাজ করা খুব মুশকিল।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, দিন দিন শীতের দাপট বাড়ছে। তাঁর ভাষায়, ‘কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি থেকে খুব বেশি কমবে বা বাড়বে, এমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই এখনই। তবে হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়ায় মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে।’

