পলাতক পুলিশ সদস্যদের যোগদানে নিষেধাজ্ঞা, মামলার প্রস্তুতি চলছে
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ১৮৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য চাকরিতে যোগদান না করায় তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা শুরু হতে যাচ্ছে। মামলার প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সেইসঙ্গে, বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে, যদিও বেশিরভাগ পুলিশ কর্মকর্তা দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
অনেকেই ভারতে পালিয়েছেন, আবার কেউ কেউ দুবাই ও আমেরিকায় চলে গেছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে, যার বিরুদ্ধে রয়েছে ৪৯টি হত্যা মামলা। এছাড়া, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ৪১টি ও ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা রয়েছে।
১৮৭ জনকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া শুরু
যে ১৮৭ জন পুলিশ সদস্য নোটিশের পরও চাকরিতে যোগদান করেননি, তাঁদের বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ১৩৬ জন কনস্টেবল এবং ৫১ জন কর্মকর্তা চাকরিতে যোগ দেননি। এদের মধ্যে বেশ কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও রয়েছে।
পলাতক কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা
পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা দায়ের হয়েছে। সাবেক আইজিপি শহীদুল হক এবং সদ্য সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অনেকেই ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে রয়েছেন।
ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও পলাতক রয়েছেন।
হত্যার মামলা
যেসব পলাতক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তার বেশিরভাগই হত্যা মামলা। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, এসবির সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম, এবং আরও অনেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।
এই মামলাগুলোর মূল অভিযোগ হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া, যা বহু প্রাণহানি ঘটিয়েছে।