দান করার ফজিলতে ছোট দানও পাহাড়সম হয়

দান করার ফজিলতে ছোট দানও পাহাড়সম হয়

61 / 100 SEO Score

মুসলিম জীবনে দান একটি অত্যন্ত পুণ্যময় ও বরকতময় আমল। হালাল রোজগার থেকে সামান্য পরিমাণ কিছু দান করলেও আল্লাহ তাআলা সেটিকে অসীম সাওয়াবে পরিণত করেন—এটাই হাদিসে স্পষ্টভাবে বর্ণিত দান করার ফজিলত। হাদিসে বলা হয়েছে, হালাল উপার্জন থেকে একটি খেজুর পরিমাণ দানও আল্লাহর নিকট কবুল হয় এবং আল্লাহ তা এমনভাবে বাড়িয়ে দেন—যেমন অশ্বশাবক বড় হয়ে একসময় শক্তিশালী ঘোড়ায় পরিণত হয়—এমনকি তা পাহাড়সম হয়ে যায়।

হাদিসের বাণী ও তার গভীর শিক্ষা

এ বিষয়ে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেন—
হালাল উপার্জন থেকে করা একটি ছোট দানও আল্লাহ তাঁর ডান হাতে কবুল করেন এবং দাতার জন্য তা প্রতিপালন করতে থাকেন, যতক্ষণ না তা পাহাড়সম হয়ে যায়। (বুখারি, হাদিস ১৪১০)
এই হাদিসটি স্পষ্টভাবে বোঝায় যে দান করার ফজিলত এমন যে, ছোট দানও বিশাল সওয়াব হয়ে ফেরত আসে।

হাদিস থেকে শিক্ষণীয় বিষয়

১️. আল্লাহর সন্তুষ্টিই হবে দানের মূল লক্ষ্য। দান যেন রিয়া, স্বার্থ বা লোক দেখানো উদ্দেশ্যে না হয়।
২️. হালাল রোজগার থেকে দান করা ফরজ শর্ত। হারাম থেকে দান করলে সওয়াব পাওয়া যায় না বরং তা গোনাহের কারণ হয়।
৩️. আল্লাহর গুণাবলি সঠিকভাবে বিশ্বাস করা জরুরি। হাদিসে আল্লাহর ‘ডান হাত’ উল্লেখ থাকলেও এর প্রকৃতি নিয়ে কল্পনা করা নিষিদ্ধ। আল্লাহ যেমন বলেছেন—
“তাঁর মত কোনো কিছুই নেই” (সুরা শুরা: ১১)।
৪️. হালাল উপার্জনে বরকত আসে, কিন্তু হারাম উপার্জনে লোভ, অস্থিরতা, কৃপণতা এবং মানসিক অশান্তি জন্ম নেয়।
৫️. দান করার ফজিলত হলো—এটি শুধু দুনিয়ায় নয়, আখিরাতেও পাহাড়সম সওয়াব হিসেবে দাতার আমলনামায় উঠে।

দান যত ছোটই হোক, তা যখন নিঃস্বার্থভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়—তখন সেই দানই দুনিয়া-আখিরাতে মানুষের জন্য হয়ে যায় অমূল্য সম্পদ।

CATEGORIES
TAGS
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )