
এদের তাড়াতে লাঠি ছাড়া উপায় নেই: সর্বমিত্র চাকমা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বলেছেন, তার ক্যাম্পাসকে ভবঘুরে, মানসিক রোগী ও মাদকাসক্ত মুক্ত করতে গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন — “লাঠি হাতে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না” বলে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি দুই নারী শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে হয়রানির শিকার হওয়ায় তিনি আরও সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন।
সর্বমিত্র জানান, প্রতিরাতে তিনি একটি নির্দিষ্ট মেট্রো স্টেশন থেকে উদ্দেশ্যহীনভাবে বসবাসকারী এক বৃদ্ধকে তুলে ফিরিয়ে আনেন; সেই বৃদ্ধটির সঙ্গে আরও একজন রয়েছেন, যাদের মধ্যে এক জন মাদকাসক্ত বলে সন্দেহ রয়েছে। তিনি বলেন, এসব ব্যক্তি ‘তোলা’ অত্যন্ত কঠিন — যদি ভায়োলেন্ট বা জোর প্রয়োগ না করা হয় তারা সময়ের কয়েক ধাপ এগিয়ে ফিরে আসে। এজন্য মাঠে কাজ করা ছাত্রনেতারা জানেন কোন কজে কতটা কঠোরতার প্রয়োজন হয়, এমন মন্তব্যও করেছেন তিনি।
সর্বমিত্র আরও বলেন, ডাকসু নির্বাহী সদস্য হিসেবে রাতের পাহারায় প্রাইভেট প্রক্রিয়ায় উচ্ছেদে নামাটা তার মূল কাজ না—তবুও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিজে তৎপর ছিলেন। “আমার নিজের কোনো স্বার্থ নেই, আমি শুধু আমার ক্যাম্পাসকে ভবঘুরে-পাগল-গাঁজাখোর-মুক্ত দেখতে চাই,” তিনি লিখেছেন। একই সঙ্গে তিনি ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বাড়তে থাকা বিতর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন। কিছু দিন আগে তিনজন মাদকাসেবীকে তোলার প্রক্রিয়ায় তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হয়েছিল বলে দাবিও করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, একজন সদস্য হিসেবে তিনি নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনে কাজ চালাবেন—তবে মাঠে আর তিনি আগের মতো থাকতে পারবেন না। সর্বমিত্র জানিয়েছেন, যথাযথ আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক সমন্বয় ছাড়াও সময় সময়ে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন হবে।
প্রাসঙ্গিক মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া:
এই মন্তব্যগুলোকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পুলিশি সহযোগিতা এবং মানবাধিকারের দিকগুলোতে প্রশ্ন উঠতে পারে। ডাকসু নেতার এমন আহ্বান স্থানীয় প্রশাসন, প্রক্টরিয়াল টিম ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কীভাবে মূল্যায়ন করে—এটি নজরদারি প্রয়োজনীয়।
সূত্র: সর্বমিত্র চাকমার ফেসবুক পোস্ট, ডাকসু শোষ্য বিবরণ

