জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
২০২৫ সালের শেষে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করতে হলে নির্বাচন ২০২৫ সালের শেষের দিকে হওয়া সম্ভব। আর যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া ও কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী গভীরতর সংস্কার যুক্ত হয়, তবে নির্বাচন আয়োজন আরও ছয় মাস পিছিয়ে যেতে পারে।
ড. ইউনূস তরুণ ভোটারদের নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের তরুণ ভোটারদের শতকরা ১০০ ভাগের কাছাকাছি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এটা নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে কোনো সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সাহস করবে না।
তিনি জানান, নতুন নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে এবং তাদের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা। গত তিনটি নির্বাচনে ভোটারদের সঠিকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি। নতুন কমিশন এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে।
এবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, এটি প্রথমবারের মতো বাস্তবায়িত হবে এবং এ জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
সবশেষে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সময়োপযোগী সংস্কার এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার উন্নতির জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সময় দিতে হবে। জাতি যেন একটি গ্রহণযোগ্য এবং ঐতিহাসিক নির্বাচনের সাক্ষী হতে পারে, সেজন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।