উল্লাপাড়ায় পরিত্যক্ত সরকারি ভবনে মাদকসেবীদের আস্তানা
উল্লাপাড়ায় রেলওয়ের জন্য নির্মিত সরকারি বাস ভবনগুলো এখন অবহেলা ও অযত্নের কারণে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বহুদিন ধরে অরক্ষিত এসব ভবন মাদকসেবীদের আস্তানায় এবং অনৈতিক কার্যকলাপের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, রেলওয়ে কর্মীদের জন্য নির্মিত ভবনগুলো রেলওয়ের ব্যবহারে না থাকায় এগুলোতে মাদকসেবন এবং অন্যান্য অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনগুলোর টিন এবং লোহার যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার কারণে ভবনগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারা বেদখলের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব আলী বলেন, “রেলওয়ের লোকজন বাসাগুলো ব্যবহার না করায় ভবনগুলো ধ্বংস হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকেই এখানে মাদকসেবন এবং অনৈতিক কার্যকলাপ চোখে পড়ে।”
রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগের ফিল্ড কানুনগো আবু বক্কর জানান, “আমি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেছি। রেলওয়ের জায়গা বিক্রির বিষয়ে কোনো তথ্য জানা নেই। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”
রেলওয়ের পাকশী ডিভিশনের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার বিরমল মন্ডল জানান, “পরিত্যক্ত ভবন এবং অবৈধ দখলের মতো সমস্যাগুলো রেলওয়ের অন্যান্য জায়গাতেও রয়েছে। আমরা নিয়মিত অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। তবে এই বাসাগুলো মূলত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য। অধিক ভাড়ার কারণে অনেক কর্মচারী পরিবার নিয়ে এখানে থাকতে চায় না। ভাড়া ৫ শতাংশ করলে ভবনগুলো কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হতে পারে।”
রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার সম্পদ এভাবে নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ভবনগুলোতে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও চুরির মতো ঘটনাগুলো স্থানীয়দের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ তদারকির মাধ্যমে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান দাবি করেছেন এলাকাবাসী।