আল্লাহর গুণাবলির প্রতি বিশ্বাস রাখার পদ্ধতি
আল্লাহর গুণাবলি ও নাম সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিসে যে শিক্ষাগুলো রয়েছে, তা বিশুদ্ধভাবে গ্রহণ করার প্রতি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আল্লাহর গুণাবলির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হলে সেগুলোকে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী মেনে নিতে হবে, কোনো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ছাড়াই।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন,
‘কোনো কিছুই তার সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা আশ-শুরা, আয়াত: ১১)।
এই আয়াতের ভিত্তিতে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেছেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের বিশ্বাস হলো, আল্লাহর গুণাবলিকে সৃষ্টির গুণাবলির সঙ্গে তুলনা করা যাবে না এবং সেগুলোকে অস্বীকারও করা যাবে না।
বিশ্বাস স্থাপনের মূলনীতি
১. কোরআন-সুন্নাহর বর্ণনা মেনে নেওয়া:
আল্লাহর গুণাবলি ও নাম কোরআন-হাদিসে যেমন বর্ণিত হয়েছে, সেভাবেই মেনে নিতে হবে। যেমন—দয়াশীলতা, ক্ষমাশীলতা, সুবিচার প্রভৃতি গুণ।
২. উপমা থেকে বিরত থাকা:
আল্লাহর গুণাবলির তুলনা মানুষের বা অন্য কোনো সৃষ্টির গুণাবলির সঙ্গে করা যাবে না।
৩. পরিপূর্ণতা:
আল্লাহর গুণাবলি সব বিবেচনায় পূর্ণ, যা মানুষের চিন্তার অতীত। অন্যদিকে মানুষের গুণাবলিতে অপূর্ণতা রয়েছে।
৪. বিশ্বাসে স্থির থাকা:
কোনো প্রকার ব্যাখ্যা, পরিবর্তন বা সংযোজন ছাড়াই আল্লাহর গুণাবলিকে মানতে হবে।
আল্লাহর নাম ও গুণাবলির প্রভাব
পবিত্র কোরআনে আল্লাহর অনেক গুণাবলির উল্লেখ রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে আল্লাহ মানুষের মধ্যে তার গুণাবলির ছায়া রেখেছেন, যেন মানুষ দয়া, ক্ষমা, সুবিচারের মতো গুণাবলির মর্ম বুঝতে পারে। তবে আল্লাহর গুণাবলি মানুষের তুলনায় অনেক উচ্চ ও অনন্য।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে:
‘কেউ তার সমকক্ষ নয়।’ (সুরা ইখলাস, আয়াত: ৪)।
মানুষ সম্পর্কে বলা হয়েছে:
‘মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ২৮)।
আল্লাহর গুণাবলি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন এবং সেই অনুযায়ী ঈমান রাখা প্রত্যেক মুসলিমের দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।