দ্বিগুণ হবে খেলাপি ঋণ, ছাড়াতে পারে ৫ লাখ কোটি
বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী মার্চের মধ্যে ঋণ শ্রেণীকরণ নীতিমালা কঠোর করতে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণের জন্য প্রয়োজন। এ পদক্ষেপের ফলে দেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত সেপ্টেম্বরের শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া অবলোপনকৃত ঋণ ৬০ হাজার কোটি এবং আদালতে আটকা পড়া ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ৭৮ হাজার কোটি। এছাড়া, ৭৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ স্টে অর্ডারের মাধ্যমে আটকে রাখা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক রীতির অনুযায়ী খেলাপি হিসাবেই গণ্য হবে। ফলে, ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে প্রকৃত হিসাব অনুযায়ী খেলাপি ঋণের পরিমাণ পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে ঋণ শ্রেণিবিন্যাসের খসড়া দিকনির্দেশনা তৈরি করেছে এবং শিগগিরই এটি প্রকাশ করা হবে। নতুন দিকনির্দেশনা অনুযায়ী, ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত তারিখের তিন মাসের মধ্যে কিস্তি পরিশোধ না করলে ঋণকে বকেয়া হিসেবে গণ্য করা হবে, যা বর্তমান নিয়মের চেয়ে কঠোর। ২০১৫ সালের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক রীতির ঋণ শ্রেণীকরণ পদ্ধতি থেকে সরে আসলেও, এখন আবার সেটি কঠোর করার উদ্যোগ নিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ শ্রেণীকরণের জন্য আন্তর্জাতিক মানের বিধিমালা বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। তবে, ব্যাংক খাতের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এই কঠোর নিয়মের ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরো বাড়বে।