আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হবে পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা।”
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “জলবায়ু সংকট মোকাবেলা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনীতি সুসংহতকরণের জন্য আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে।” তিনি বলেন, “বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।” তিনি তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যদিও আমাদের সম্পদ সীমিত, তবে মেধা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে তরুণরা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম, এজন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নানা সুযোগ-সুবিধা চালু রয়েছে। “বেশিরভাগ বীর মুক্তিযোদ্ধা আজ বয়সের ভারে অতিষ্ঠ, তবে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর উদ্যোগে প্রতি বছর তাঁদের সম্মান জানানো প্রশংসনীয়,” বলেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। আমাদের দায়িত্ব হলো সফল মানুষদের একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা।” তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনো মত বা ধর্মের কারণে একে অপরকে শত্রু ভাবব না, সবাই সমান।”
তিনি বলেন, “বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত বাতাসের রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণে আমি অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই যাতে জনগণই সত্যিকার অর্থে সব ক্ষমতার উৎস হয় এবং দেশটি বিশ্ব দরবারে একটি মানবিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হয়।”
এর আগে, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটির কর্মসূচি দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে শুরু হয়, যেখানে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।