হিজবুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে লেবানন সরকার এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তবে প্রক্রিয়াটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। লেবাননের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরির সহকারী আলি হাসান খলিল জানান, “লেবানন তাদের মতামত ইতিবাচকভাবে লিখিত আকারে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে উপস্থাপন করেছে। আলোচনা অব্যাহত রাখতে হোয়াইট হাউসের দূত আমোস হোচস্টেইন বৈরুতে আসছেন।”
খলিল আরও বলেন, “লেবাননের প্রস্তাব জাতিসংঘের রেজোলিউশন ১৭০১-এর বিধানের প্রতি আনুগত্য নিশ্চিত করে। যুদ্ধবিরতির সফলতা এখন ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করছে। ইসরায়েল যদি চায়, ১০০টি সমস্যা তৈরি করে আলোচনাকে জটিল করতে পারে।”
রেজোলিউশন ১৭০১, ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে পূর্ববর্তী যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল। যদিও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, রেজোলিউশনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। তারা সীমান্তে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা এবং অস্ত্রের উপস্থিতিকে নিয়ম লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে।
এদিকে, লেবানন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আকাশসীমা লঙ্ঘন এবং বৈরুত ও দক্ষিণ শহরতলিতে বোমাবর্ষণ করার অভিযোগ তুলেছে। আলি হাসান খলিল বলেন, “ইসরায়েল আগুনের মধ্যেই আলোচনা চালানোর চেষ্টা করছে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই বিষয়ে কড়া অবস্থান জানিয়ে বলেছেন, “উত্তরাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।” তিনি সোমবার তেল আবিবে পার্লামেন্টে এ মন্তব্য করেন।
যদিও যুদ্ধবিরতির আলোচনা কিছুটা অগ্রগতি দেখাচ্ছে, ইসরায়েলের সামরিক কার্যক্রম এবং হিজবুল্লাহর প্রতিক্রিয়া এ প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।