
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি, না হলে ‘শহীদী ব্লকেড’
জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের গ্রেপ্তারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার। এমন অভিযোগ করেছেন জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে তারা গণহত্যার বিচার দাবিতে নিজেদের অবস্থান ও পরবর্তী কর্মসূচি তুলে ধরেন।
জুলাই মঞ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রত্যাশিত পদক্ষেপ না নিলে শাহবাগে ‘শহীদি ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধি সাকিব হোসেন বলেন, “গণহত্যার স্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের বিচারের ধীরগতি আমাদের মনে সন্দেহ তৈরি করছে। পাশাপাশি চিহ্নিত গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “৬২৬ জন গণহত্যাকারী রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পালিয়ে গেছে। শেখ হাসিনাসহ ভারতে পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রমেও কোনো অগ্রগতি নেই। এটি গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ দুই হাজার মানুষের আত্মত্যাগকে অস্বীকার করার শামিল।”
মঞ্চের প্রতিনিধি থোয়াই চিং মং বলেন, “আমরা সাত মাস সময় দিয়েছি, ভেবেছিলাম এ সময়ের মধ্যে শহীদদের আত্মাকে শান্ত করতে পারব। কিন্তু এত দিন পার হলেও বিচার হয়নি। আমরা শহীদদের প্রতি দায়বদ্ধ। গণহত্যার বিচার আগে হতে হবে, তারপর সংস্কার বা নির্বাচন—যা ইচ্ছা করুন।”
সংহতি সমাবেশের শেষ পর্যায়ে মঞ্চের প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে গণহত্যা হবে, আর বিচার হবে না—এটি মেনে নেওয়া যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বচ্ছ ইমেজের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে একটি বিশেষ বাহিনী গঠন করে দেশে অবস্থানরত গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। পাশাপাশি গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় আমরা শাহবাগে ‘শহীদি ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছে। শহীদদের ন্যায়বিচারের দাবিতে জুলাই মঞ্চের অবস্থান দৃঢ় এবং সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, সেটির দিকে নজর রাখছে দেশবাসী।