
২০২৬ বিশ্বকাপে নতুন নিয়ম
২০২৬ বিশ্বকাপ নতুন নিয়ম, বিশ্বকাপে পানি বিরতি, ফিফা হাইড্রেশন ব্রেক—এই তিন দিককে প্রাধান্য দিয়ে আসরের প্রতিটি ম্যাচে দুই অর্ধে বাধ্যতামূলক ‘হাইড্রেশন ব্রেক’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে ফিফা। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, খেলোয়াড়দের সুরক্ষা ও শারীরিক সক্ষমতা রক্ষার স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর গরম আবহাওয়া মাথায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফিফা শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৬ বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচের প্রথম ও দ্বিতীয় অর্ধের ২২ মিনিটের সময় তিন মিনিট করে পানি পানের বিরতির জন্য খেলা থামবে। অর্থাৎ কার্যত ৯০ মিনিটের ম্যাচকে চার ভাগে ভাগ করা হবে, যাতে খেলোয়াড়রা শারীরিক চাপ সামলে নিয়ন্ত্রিতভাবে ম্যাচ শেষ করতে পারেন। আবহাওয়া গরম–ঠান্ডা যেমনই হোক, এই পানি বিরতি সব ম্যাচেই বাধ্যতামূলক থাকবে।
সংস্থাটি জানায়, কোচ, সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান ও আয়োজক কমিটি—সবার সঙ্গে আলোচনাই এই সিদ্ধান্তের ভিত্তি। ফিফা একে অতীতের কিছু টুর্নামেন্টে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত নিয়মের ‘সহজ ও মানসম্মত সংস্করণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এর আগে গত গ্রীষ্মে অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপে হাইড্রেশন ব্রেক ব্যবহৃত হলেও তা ছিল আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। তীব্র গরমে, বিশেষ করে যখন তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়, তখনই কেবল পানি পানের বিরতি দেওয়া হতো।
সেই টুর্নামেন্টে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে এক ম্যাচ শেষে বেনফিকার ফরোয়ার্ড আন্দ্রিয়াস শেলদারুপ বলেছিলেন, এমন গরমে খেলাটা স্বাভাবিক নয় এবং তা খেলোয়াড়দের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। চেলসির তারকা এনজো ফার্নান্দেজও জানান, অতিরিক্ত গরমে এক সময় তাঁর মাথা ঘুরে ওঠে এবং তাকে মাঠে শুয়ে পড়তে বাধ্য হতে হয়।
খেলোয়াড়দের এসব অভিজ্ঞতা, চিকিৎসক ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিবেচনা করেই ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে নিয়ম বইতে স্পষ্টভাবে ‘হাইড্রেশন ব্রেক’ অন্তর্ভুক্ত করল ফিফা। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে মাঠের লড়াই যেমন কৌশলগত দিক থেকে বদলাবে, তেমনি ফুটবলারদের দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতাও সুরক্ষিত থাকবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

