
হিম বাতাসে কাবু পঞ্চগড়ের মানুষ
হিম বাতাসে কাবু পঞ্চগড়, পঞ্চগড়ে শীতের তাপমাত্রা, তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ—শীতের এমন দাপটে দেশের সর্বউত্তরের এই জেলার জনজীবন কার্যত থমকে গেছে। ভোর থেকে তীব্র হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার কারণে অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না। বিশেষ করে খেটেখাওয়া শ্রমজীবী মানুষ, দিনমজুর, রিকশাচালক ও ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও চোখে পড়ার মতোভাবে বাড়ছে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগে শিশু ও বৃদ্ধদের ভিড় বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ। তার আগের দিন শনিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে যায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘রবিবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। তাপমাত্রার এই পতন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে পড়ে।’
তিনি আরও জানান, হিমালয় অঞ্চল থেকে নেমে আসা ঠাণ্ডা বাতাসের প্রভাবে আগামী কয়েক দিন পঞ্চগড় ও আশপাশের জেলাগুলোর তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা আরও ঘন হবে এবং শীতের তীব্রতাও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কৃষি, যোগাযোগ ও দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

