হারতে হারতে জয় পেল বাংলাদেশ
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ এক রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে। শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১০ রান। তবে হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে রোভমান পাওয়েল ও আলজারি জোসেফকে আউট করে টাইগাররা ৭ রানের জয়ের স্বাদ পায়। এ জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
১৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদ ব্র্যান্ডন কিংকে আউট করে প্রথম ধাক্কা দেন। এর পরের ওভারে শেখ মেহেদী নিকোলাস পুরানকে ফিরিয়ে দেন। ২ রানেই ক্যারিবিয়ানরা হারায় ২ উইকেট। এরপরও তাদের ইনিংসে ছোটখাটো ঝড় আসে।
তানজিম হাসানের করা এক ওভারে ২৫ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে মেহেদীর এক্সট্রা বাউন্সে ১২ বলে ২০ করা চার্লস আউট হন। মেহেদী পরপর দুই বলে আন্দ্রে ফ্লেচার ও রোস্টন চেজকেও প্যাভিলিয়নে পাঠান। ফলে ৩৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ক্যারিবীয়রা। গুড়াকেশ মোতি ও পাওয়েলের জুটিতে কিছুটা প্রতিরোধ দেখা গেলেও তানজিমের বলে মোতি আউট হলে ৬১ রানে ৭ উইকেট পড়ে যায়।
এখান থেকে রোভমান পাওয়েল ও রোমারিও শেফার্ড মিলে ইনিংস টানতে শুরু করেন। পাওয়েল ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেফার্ড তাকে যথেষ্ট সঙ্গ দেন। এই জুটি ক্যারিবীয়দের ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। ১৮তম ওভারে তাসকিন শেফার্ডকে ফিরিয়ে ৬৭ রানের জুটি ভাঙেন।
শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন পাওয়েল। হাসান মাহমুদের প্রথম বল ডট হওয়ার পর তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৬০ রান করা পাওয়েল। এরপর জোসেফকেও বোল্ড করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস গুটিয়ে দেন হাসান।
এর আগে, বাংলাদেশের ইনিংসে সৌম্য সরকার করেন ৩২ বলে ৪৩ রান। গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন শামীম হোসেন, মাত্র ১৩ বলে ২৭ রান যোগ করেন তিনি। এছাড়া জাকের আলি অনিক ২৭ রান করেন। শেখ মেহেদী ব্যাট হাতে ২৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
বল হাতে শেখ মেহেদী হাসান ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স দেখান। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। তাসকিন আহমেদ ৩ উইকেট তুলে নেন, যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে শেফার্ডের উইকেট ছিল।
এই জয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাল। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।