স্পিনের চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশেরও
মিরপুরে টেস্টের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা দল নিজেদের স্পিন সামলানোর জন্য নিবিড় প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রোটিয়া ওপেনার টনি ডি জর্জি, এইডেন মারক্রাম এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটার কাইল ভেরেইনে নেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্পিনের বিপক্ষে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন। উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোর জন্য বাংলাদেশ সফর মানেই স্পিনের বড় চ্যালেঞ্জ, এবং দক্ষিণ আফ্রিকাও সেই চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।
দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা থেকে স্পষ্ট যে, স্পিন এখানকার অন্যতম মূল অস্ত্র। তখন দুই ম্যাচে ১৫টি উইকেটই এসেছিল স্পিনারদের হাত ধরে। এবারও প্রোটিয়া শিবিরে কেশভ মহারাজের মতো দক্ষ বাঁহাতি স্পিনার আছেন, যিনি ডারবানের মতো পেসারদের উপযোগী উইকেটে সাইমন হারমারের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশকে হারাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। মিরপুরের স্পিন-সহায়ক উইকেট মহারাজের জন্য আরো সুবিধাজনক হবে, এমনটাই মনে করছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অবশ্য উপমহাদেশের কন্ডিশনে তাদের দুর্বলতা স্পষ্ট করে। গত ১০ বছরে উপমহাদেশে খেলা ১৮টি টেস্টের মধ্যে প্রোটিয়ারা কোনো জয় পায়নি। এবার সেই পরিসংখ্যান বদলাতে চায় তারা। মহারাজ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ তাদের ঘরের মাঠে শক্তিশালী দল হলেও দক্ষিণ আফ্রিকা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জিততে প্রস্তুত।
বাংলাদেশও দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিন-চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে প্রস্তুত। স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদকে আবার ফিরিয়ে এনে তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদী হাসান মিরাজের মতো স্পিনারদের অনুশীলনে মনোযোগী করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। স্পিনের যুদ্ধ হতে যাচ্ছে এই টেস্ট সিরিজে, যেখানে দু’দলই নিজেদের সেরা স্পিনারদের ওপর নির্ভর করবে।