
সেন্ট মার্টিনে বাসিন্দা ছাড়া কারো প্রবেশ নিষেধ, ভ্রমণে কড়াকড়ির অভিযোগ
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও দ্বীপের বাসিন্দা ছাড়া কেউ সেখানে যেতে পারছেন না। পর্যটকদের জন্য নভেম্বর মাসে আসার অনুমতি থাকলেও অবস্থানের সুযোগ নেই বলে ঘোষণা এসেছে। তবে বাস্তবে কোনো ভ্রমণ অনুমোদনও দিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। ফলে দ্বীপের বাসিন্দাদের আত্মীয়-স্বজনেরও প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দ্বীপে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, এমন কড়াকড়ি এর আগে কখনো দেখা যায়নি, যা গুজব সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, কেবল জরুরি প্রয়োজনে যারা দ্বীপে যেতে চান, যেমন এনজিও কর্মী, গবেষক বা সংবাদকর্মীদের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্বীপের বেশিরভাগ হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। বাইরে থেকে আসা বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, কারণ পর্যটনের জন্য পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগেরও সুযোগ নেই।
সরকারের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দৈনিক মাত্র দুই হাজার পর্যটক দ্বীপে যেতে পারবেন। এর প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা নিয়মিত বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করছেন। ৫ নভেম্বর দ্বীপে এক বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেন্ট মার্টিনে অবস্থানরত এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, “এই কড়াকড়ির কারণে আত্মীয়স্বজনকেও আনতে পারছি না।”
দ্বীপে পর্যটনের কড়াকড়ি সম্পর্কে জানতে চাইলে কোস্ট গার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার এস এম রাশাদ হায়দার জানান, নিরাপত্তার দিক বিবেচনায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।