
সাবেক মন্ত্রী-এমপির মধ্যে গ্রেপ্তার ৫৭, বাকিদের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের ৩০০ সংসদ সদস্যের মধ্যে ৫৭ জন এমপি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৩১ জন মন্ত্রী ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। সূত্র: পুলিশ, দলীয় ও কারাগার।
সূত্র মতে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বেশির ভাগই আত্মগোপনে চলে যান। তাঁদের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা চলমান।
দলীয় সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের এমপি রয়েছেন ৪০ জন। বাকি তিনজন একাদশ জাতীয় সংসদের এমপি। তাঁরা সবাই কারাগারে। বাকিরা দেশে-বিদেশে আত্মগোপনে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১৩১ জনই দলের শীর্ষ নেতা। দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শুরু হয়।
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে ১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যান্য গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী টিপু মুনশি, সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং রমেশ চন্দ্র সেন রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “এই অবৈধ অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের মানুষের ওপর জুলুম শুরু করেছে।”
গত ৭ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনায় দুই হাজারের বেশি মামলা হয়, যেখানে লক্ষাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয় এবং গ্রেপ্তার হয়েছে ১২ হাজারের বেশি। পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি ইনামুল হক সাগর জানান, এ সময়ে ৩৯ জন এমপি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সূত্র: কালের কণ্ঠ।