সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুবিধা
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিকরাও ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাঁদা প্রদান করলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন।
প্রবাসীরা বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা জমা দিলে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। ব্যাংক, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, অনলাইন ব্যাংকিং এবং ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে চাঁদার টাকা জমা দেওয়া যাবে। চাঁদার অর্থ নিরাপদে ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হবে এবং কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া যাবে। মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে।
স্কিম অনুযায়ী সুবিধা:
প্রগতি স্কিম: বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের জন্য। চাঁদার ৫০% কর্মী এবং বাকিটা প্রতিষ্ঠান বহন করবে। চাঁদার হার ২০০০, ৩০০০, ৫০০০ ও ১০০০০ টাকা।
সমতা স্কিম: দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারীদের জন্য। মাসিক চাঁদার হার ১০০০ টাকা। চাঁদাদাতা জমা দেবেন ৫০০ টাকা এবং বাকিটা সরকার প্রদান করবে।
প্রবাস স্কিম: বিদেশে অর্জিত অর্থ থেকে নিরাপদ সঞ্চয়ের জন্য। প্রবাসীরা ১০ বছর চাঁদা প্রদান করলে ৬০ বছর পূর্তিতে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (EFT) মাধ্যমে মাসিক পেনশন পাবেন।
সুরক্ষা স্কিম: কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, গৃহিণীসহ অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীদের জন্য। চাঁদার হার ১০০০, ২০০০, ৩০০০ ও ৫০০০ টাকা।
নমিনী রাখার সুবিধা থাকায়, চাঁদাদাতা মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনীকে প্রদান করা হবে। সকল স্কিমের আবেদন অনলাইনে করতে হবে এবং প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর জন্য একটি ইউনিক আইডি বরাদ্দ করা হবে।
সোনালী ব্যাংক সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সম্মুখ অফিস হিসেবে কাজ করবে।