সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরে গেল বাংলাদেশ
ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজেও জয় দিয়ে শুরু করার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে বিশাল ১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস। ফলে আয়ারল্যান্ডের মেয়েরা ১২ রানের জয় তুলে নিয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে যায়।
শেষ দিকে ১২ বলে ১৮ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের, হাতে ছিল ৬ উইকেট। তবে আয়ারল্যান্ডের পেসার ওরলা প্রেনডার্জেস্টের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশ চাপে পড়ে। তার ওভারের প্রথম বলেই স্বর্ণা আক্তার বোল্ড হলে ব্যাকফুটে চলে যায় দল। নতুন ব্যাটার ঋতু মনি কোনো রান করতে না পেরে ৩ বলেই আউট হন। প্রেনডার্জেস্ট ওই ওভারে কোনো রান না দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনা শেষ করে দেন।
শেষ ওভারে মাত্র ৫ রান নিয়ে পরাজয়ের ব্যবধান ১২ রানে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
রেকর্ড ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল বাংলাদেশ। দিলারা আক্তার এবং শবনম মোস্তারির উদ্বোধনী জুটি এনে দেয় ১০৩ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রুমানা আহমেদ এবং আয়েশা রহমান ৮১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন।
তবে দুজনেই ফিফটি করতে ব্যর্থ হন। মোস্তারি করেন ৪৬ রান, আর দিলারা ৪৯ রানে আউট হন। তাদের বিদায়ের পর দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ব্যাকফুটে চলে যায়। শারমিন আক্তার সুপ্তা (২৩*) এবং তাজ নাহার (১৯) চেষ্টা করেও জয় এনে দিতে পারেননি।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৬৯ রানের রেকর্ড স্কোর করে আয়ারল্যান্ড। দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারালেও অধিনায়ক গ্যাবি লুইস (৬০) এবং লিয়া পলের (৭৯*) ব্যাটে ভর করে তারা বড় সংগ্রহ গড়ে। তৃতীয় উইকেটে তারা ১০৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
বাংলাদেশের মেয়েরা তাদের ঐতিহাসিক জয় হাতছাড়া করলেও, তাদের লড়াই মুগ্ধ করেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।