সংসদের আগেই স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের মত আসছে সংস্কার কমিশনে

সংসদের আগেই স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের মত আসছে সংস্কার কমিশনে

স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন একসঙ্গে করার প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ। রবিবার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ জানান, ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সিটি করপোরেশন, উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌরসভা নির্বাচনে ২৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই সময় ১৯ লাখ লোকবল নিয়োগ করা হয় এবং ভোটগ্রহণে লেগেছিল ২২৫ দিন।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আলাদা আলাদা সময়ে হওয়া অনেক ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। আইন পরিবর্তন করে নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করলে খরচ ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকায় নেমে আসবে এবং সময় লাগবে ৪০ থেকে ৪৫ দিন। সরকারের মেয়াদ শুরুর সময় নির্বাচনের আয়োজন করলে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনার সঙ্গে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলো কাজ করতে পারবে।

অনেক জায়গায় অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি উঠে এসেছে। এতে সংসদ সদস্যদের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হওয়া সম্ভব হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। তবে এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হলে বিবেচনা করা হবে।

তোফায়েল আহমেদ জানান, ‘না ভোট’ রাখার বিষয়ে বড় ধরনের মতামত এসেছে। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহারের বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে।

চাকরিজীবী মেয়র বা কাউন্সিলর হওয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় উদাহরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এককভাবে নয়, কয়েকজনের সমন্বয়ে কার্যকর এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল হতে পারে। বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে দুই বা এক বছরের জন্য রোটেশন পদ্ধতির কথাও বিবেচনায় রয়েছে।

আগামী ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের মধ্যে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানান তোফায়েল আহমেদ।

CATEGORIES
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (1 )