
সর্দি-কাশি রোধে শীতে খেতে ৭ স্বাস্থ্যকর খাবার
শীতের খাবার ঠিক রাখলে শীতকালীন ভাইরাসজনিত সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। সর্দি-কাশি, ইমিউনিটি বাড়ে, ভিটামিন সি—এই তিনটি বিষয় মাথায় রেখে খাবারে কিছু সহজ পরিবর্তনই হতে পারে আপনার দৈনন্দিন সুরক্ষার বড় সহায়।
শীতকালে ঠান্ডা, কম রোদ এবং শুষ্ক আবহাওয়ায় ভাইরাস দ্রুত ছড়াতে পারে। ফলে সর্দি, কাশি, জ্বর বা গলা ব্যথা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। গরম পোশাকের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্ত রাখতে খাবার বাছাই করাও জরুরি। শীতে কোন খাবারগুলো বেশি উপকারী—জেনে নিন।
১) ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল
লেবু, কমলালেবু, আমলকি ও পেয়ারা শীতের সহজলভ্য ফল। ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে—ফলে ভাইরাস মোকাবিলায় শরীর কিছুটা বাড়তি সাপোর্ট পায়।
২) আদা ও রসুন
আদা ও রসুনে প্রাকৃতিক অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। আদা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালীর অস্বস্তি কমাতে উপকারী হতে পারে। রসুনে থাকা অ্যালিসিন ইমিউন সাপোর্টে ভূমিকা রাখতে পারে। রান্নায়, স্যুপে বা আদা-চা হিসেবে খাওয়া যায়।
৩) হলুদ ও শীতের মসলা
হলুদের কারকিউমিন প্রদাহ কমাতে সহায়ক হিসেবে পরিচিত। শীতকালে হলুদ-দুধ অনেকের জন্য আরামদায়ক। এছাড়া দারচিনি, গোলমরিচ ও জিরা—এই মসলাগুলো পরিমিতভাবে খাবারে যোগ করলে শরীর উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে।
৪) প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার
ডাল, ডিম, মাছ, মাংস ও পনির প্রোটিনের ভালো উৎস। প্রোটিন শরীরের কোষ মেরামত এবং অ্যান্টিবডি তৈরির প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে—যা সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ।
৫) শাকসবজি ও সবুজ পাতা
পালং শাক, ব্রকলি, গাজর, বিটসহ নানা সবজিতে ভিটামিন এ, ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো ইমিউন সিস্টেমকে সাপোর্ট করে এবং মৌসুমি অসুস্থতার প্রভাব কমাতে সহায়ক হতে পারে।
৬) দই ও ফারমেন্টেড খাবার
দইয়ের প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। সুস্থ অন্ত্র ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী রাখতে ভূমিকা রাখে—ফলে ভাইরাসজনিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমতে পারে।
৭) নিয়মিততা ও পরিমিতি
শীতে খাবার উপকারী হবে তখনই, যখন তা নিয়মিত ও পরিমিত হবে। পর্যাপ্ত পানি/উষ্ণ তরল, পর্যাপ্ত ঘুম ও হাত-পরিচ্ছন্নতা—এসবও সর্দি-কাশি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: এই সময়
নোট: জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা দীর্ঘদিনের কাশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

