শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে কার্যকর যেসব পুষ্টিকর খাবার

শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে কার্যকর যেসব পুষ্টিকর খাবার

শিশুর সুস্থ ও স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার জন্য সঠিক পুষ্টির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে অনেক সময় শিশুর স্বাভাবিক ওজন না থাকায় অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় পড়েন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওজন বৃদ্ধির জন্য কখনোই ফাস্টফুড, অতিরিক্ত চিনি কিংবা তেল-ঝাল-মসলা জাতীয় খাবারের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। বরং স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমেই শিশুর শরীর গঠন ও ওজন বৃদ্ধি করা যায়।

নিচে ওজন বাড়াতে সহায়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার তুলে ধরা হলো:

কলা:
উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, বি-৬ ও কার্বোহাইড্রেট। স্মুদি কিংবা চটজলদি নাস্তা হিসেবে শিশুদের দিতে পারেন।

মিষ্টি আলু:
ভিটামিন এ, সি, বি-৬ এবং নানা খনিজে ভরপুর এই সবজিটি হজমে সহায়ক। সেদ্ধ করে বা স্যুপ আকারে খাওয়ানো যেতে পারে।

ডাল:
প্রোটিন ও আয়রনে সমৃদ্ধ ডাল শিশুর জন্য সহজপাচ্য ও উপকারী। ৬ মাস বয়স থেকেই এটি শিশুর খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

ঘি:
৮ মাস বয়স থেকে কয়েক ফোঁটা ঘি শিশুর ভাত বা খিচুড়িতে মেশানো যেতে পারে। এটি কেবল ওজন বাড়াতেই নয়, খাবারে বাড়তি স্বাদ আনতেও সহায়ক।

দুগ্ধজাত পণ্য:
এক বছর বয়সের পর থেকে দই ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। বিশেষ করে দই হজমে সহায়ক ও রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।

ডিম:
ডিমে রয়েছে প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। ডিম সেদ্ধ, ডিম ভাজি বা ওমলেটের মতো রূপে পরিবেশন করলে শিশুরা সহজে গ্রহণ করে।

শুকনো ফল ও বীজ:
বাদাম, কিশমিশ, আখরোট, কাজু ইত্যাদি শিশুদের ক্যালোরি ও পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে। এগুলো গুঁড়ো করে দুধে মিশিয়ে বা স্ন্যাকস হিসেবেও খাওয়ানো যায়।

অ্যাভোকাডো:
স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার ও ভিটামিনে ভরপুর অ্যাভোকাডো শিশুদের ওজন বাড়াতে বিশেষভাবে সহায়ক।

মুরগির মাংস:
প্রোটিনসমৃদ্ধ মুরগির মাংস পেশি গঠনে সহায়ক এবং শিশুদের ওজন বাড়াতে কার্যকর। সুপ, ঝোল বা সালাদ হিসেবে দিতে পারেন।

সতর্কতা:
প্রক্রিয়াজাত ও অতিমাত্রায় চিনিযুক্ত খাবার ওজন বাড়ালেও দীর্ঘমেয়াদে এটি দাঁতের ক্ষয়, হজমে সমস্যা এমনকি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই শিশুর খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখাই সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর উপায়।

খাদ্যতালিকায় যুক্ত করার পরামর্শ:
শিশুর বয়স ও হজম ক্ষমতা বিবেচনায় ধাপে ধাপে নতুন খাবার যুক্ত করুন। ছোটদের জন্য কলা, আলু ভর্তা, ডাল উপযোগী; আর বড়দের জন্য ডিম, মুরগি কিংবা শুকনো ফল দিয়ে নানান মুখরোচক রেসিপি তৈরি করে পরিবেশন করুন।

সূত্র: কলকাতা ২৪×৭

CATEGORIES
Share This

COMMENTS Wordpress (0) Disqus ( )