শাহজালালে বাড়ছে ‘বার্ড হিট’, বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা

শাহজালালে বাড়ছে ‘বার্ড হিট’, বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা

ঢাকার আশপাশে উড়োজাহাজে পাখির আঘাতের (বার্ড হিট) ঘটনা বেড়েই চলেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চারপাশের জলাশয়, উচ্ছিষ্ট খাবার, এবং রানওয়ের সবুজ ঘাস পাখিদের আকর্ষণ করে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের ওঠানামার সময় বার্ড হিটের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, শাহজালাল বিমানবন্দরে পাখি তাড়ানোর জন্য বার্ড শ্যুটার নিয়োজিত থাকলেও পাখিদের উপস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। উড়োজাহাজ উড্ডয়ন বা অবতরণের সময় পাখি ইঞ্জিনে ঢুকে মারাত্মক ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি করে, যা পাইলটদের জন্য মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

গত চার বছরে দেশি-বিদেশি সাতটি উড়োজাহাজ বার্ড হিটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ড্রিমলাইনার, ইউএস-বাংলা, কাতার এয়ারওয়েজ এবং আমিরাত এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজও রয়েছে। চলতি বছর পাখির আঘাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করেছে।

সর্বশেষ, নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে একটি ফ্লাইট বার্ড হিটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উড়োজাহাজটি ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চার ঘণ্টা বিলম্বের পর ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

পাইলটদের অভিযোগ, বিমানবন্দরে পাখি তাড়ানোর কাজে দায়িত্বপ্রাপ্তদের দক্ষতার ঘাটতি এবং কার্যক্রমের পর্যবেক্ষণ কম। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাখি নিয়ন্ত্রণে সরাসরি এবং পরোক্ষ ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন- বার্ড শ্যুটার, সাউন্ড রিপেলিং, লেজার গান, এবং ডিটেকশন ডিভাইস।

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের আশপাশে পাখির উৎস চিহ্নিত করে তাদের অন্যত্র সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাখির আঘাত ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে রবিবার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়, যা এ ধরনের ঝুঁকির গুরুতরতা বাড়িয়ে তুলেছে।