রাশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার সামরিক মহড়া: পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত?

রাশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার সামরিক মহড়া: পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত?

চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার প্রথম যৌথ সামরিক মহড়া দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো, যিনি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানিয়েছেন। সাধারণত নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখলেও, এবার রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গবেষক পিটার পান্ডি জানান, ইন্দোনেশিয়া কোনো নির্দিষ্ট জোটের ওপর নির্ভর না করে নিজের সুবিধামতো সম্পর্ক স্থাপনে গুরুত্ব দিচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার আসিয়ান সদস্য দেশ হিসেবে এর আগেও রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল, তবে তা সম্মিলিত না হয়ে একক মহড়ার মাধ্যমে।

বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার চাপ উপেক্ষা করেই ইন্দোনেশিয়া রাশিয়ার কাছ থেকে ১.১ বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমান চুক্তি বজায় রেখেছে, যা ইন্দোনেশিয়ার নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরে আসার দিকনির্দেশনা দিতে পারে। ২০২২ সালে আয়োজিত জি২০ সম্মেলন থেকে রাশিয়াকে পৃথক করতে পশ্চিমা দেশগুলো যখন চাপ দিয়েছিল, তখন ইন্দোনেশিয়া তা মানতে অস্বীকৃতি জানায়।

প্রেসিডেন্ট প্রাবোও গত জুলাই মাসে ক্রেমলিনে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দুই দেশের মধ্যে যৌথ নৌ মহড়ার ঘোষণা দেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রাবোও ঘোষণা করেছেন যে, তিনি একটি ‘দৃঢ় বন্ধুত্বের জাল’ তৈরিতে আগ্রহী।

TAGS
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )