মোটা’ জেনেও ছোট ডেস্ক, ৫৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা
ওজন ১৬৩ কেজি এবং উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি, এমন শারীরিক গড়নের একজন ব্যক্তি নিউ ইয়র্কের একটি লাইব্রেরিতে ছোট ডেস্কে কাজ করতে বাধ্য হওয়ায় শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় তিনি ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৪.৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা) দাবি করে মামলা করেছেন।
অভিযোগের বিবরণ:
উইলিয়াম মার্টিন নামে এই ব্যক্তি নিউ ইয়র্কের ফিফথ অ্যাভিনিউয়ের স্ট্যাভ্রস নিয়ারকোস ফাউন্ডেশন লাইব্রেরি-তে তথ্য সহকারী হিসেবে কাজ করেন। ব্রুকলিন ফেডারেল কোর্টে দায়ের করা মামলায় তিনি দাবি করেছেন, তার শারীরিক গড়নের তুলনায় দেওয়া ডেস্কটি সরু ছিল। এতে তিনি শারীরিক অস্বস্তি ও মানসিক হয়রানির শিকার হন।
মার্টিন অভিযোগ করেন, তিনি ২০২১ সালে এই ডেস্কে কাজ শুরু করেন। প্রথম থেকেই সমস্যা অনুভব করলেও কর্তৃপক্ষ তাকে মানানসই ডেস্ক দিতে অনীহা দেখায়। যদিও আপত্তি জানানোয় পরে তাকে অন্য ডেস্কে স্থানান্তর করা হয়েছিল, ২০২৩ সালের জুনে এক নতুন সহকারী পরিচালক তাকে আবার সেই ছোট ডেস্কে বসান।
সহকারী পরিচালকের আচরণ নিয়ে অভিযোগ:
মার্টিনের দাবি, নতুন সহকারী পরিচালক ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে সমস্যা তৈরি করে এমন ডেস্কে ফেরত পাঠান এবং তার কাজের চাপ বাড়িয়ে দেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় যে, তিনি কাজের সময় ঘুমান। মার্টিন এ অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
শারীরিক ও মানসিক প্রভাব:
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, এসব ঘটনায় মার্টিন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হন এবং বিষণ্নতা ও উদ্বেগের কারণে চিকিৎসা ছুটি নিতে বাধ্য হন। এমন পরিস্থিতিতে তিনি কাজে ফিরে যাওয়ার চিন্তায়ও শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন।
মামলার দাবি:
মার্টিন আদালতের কাছে তার ছুটির অনুমোদন এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার জন্য লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া:
নিউইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরির একজন মুখপাত্র মামলাটিকে “অযোগ্য” বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা কর্মচারীদের প্রয়োজন এবং সমস্যাগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখি।”
এই মামলা কর্মক্ষেত্রে শারীরিক বৈচিত্র্যের প্রতি সমান আচরণ এবং কর্মীর মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।