
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনে সমৃদ্ধ দামুড়হুদা
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন দিন দিন বাড়ছে। কম রোগবালাই, স্বল্প খরচ, দ্রুত বংশবৃদ্ধি এবং লাভজনক আয়—এসব কারণে কালো জাতের এই জনপ্রিয় ছাগল এখন অনেক পরিবারের সচ্ছলতার উৎস হয়ে উঠেছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দামুড়হুদা উপজেলায় বর্তমানে প্রায় দুই লাখ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল রয়েছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এখন কম–বেশি ছাগলের খামার দেখা যাচ্ছে।
দেউলি গ্রামের মশিউর রহমান জানান, তিনি ২০১৬ সালে সখের বসে একটি বকরি দিয়ে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন শুরু করেন। প্রথম বছরের দুটি বাচ্চা থেকে মাত্র দুই বছরে ছাগলের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১টি। এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ৩৮টি ছাগল।
তিনি বলেন,
“প্রতি দেড় থেকে দুই বছর পর ১.৫০ লাখ থেকে ১.৮০ লাখ টাকার ছাগল বিক্রি করি। এই আয়ে সাত লাখ টাকা ব্যয়ে পাকা বাড়িও করেছি। মেয়ের পড়ালেখার খরচও চলে এই খামার থেকে।”
মশিউর আরও জানান, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলে তেমন রোগবালাই নেই। শীতে ঠাণ্ডাজনিত কিছু সমস্যা হলেও সামান্য যত্ন নিলেই তা এড়ানো যায়।
তবে তিনি দাবি করেন, এত বছর ছাগল পালন করলেও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে কখনো সহায়তা পাননি।
দামুড়হুদা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিলিমা আক্তার হ্যাপি বলেন,
“ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত। এদের রোগবালাই কম, আর দামুড়হুদার আবহাওয়া এই জাতের ছাগল পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।”
তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়াসহ আশপাশ অঞ্চলে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে। প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে নিয়মিত পরামর্শ ও তদারকি করা হচ্ছে।
দামুড়হুদায় ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন এখন শুধু খামারির বিকল্প আয় নয়—এটি এলাকায় একটি সফল কৃষিভিত্তিক ব্যবসা মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে।

