
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ৮ ডিসেম্বর
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরি, রিজার্ভ মামলা, সিআইডি তদন্ত—এই আলোচিত আর্থিক অপরাধের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায়, ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন নতুন তারিখ হিসেবে আগামী ৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন।
রিজার্ভ চুরির ঘটনা
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোড ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার জালিয়াতির মাধ্যমে চুরি করা হয়।
চুরি হওয়া অর্থ পরে ফিলিপাইনের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পাচার করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর ধারণা, দেশের অভ্যন্তরীণ একটি চক্র বিদেশি হ্যাকারদের সহায়তা করে এই অর্থপাচার ঘটায়।
মামলা ও তদন্ত
ঘটনার এক মাস পর, ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ, বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি দায়ের করা হয়—
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ধারা ৪,
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬-এর ধারা ৫৪ ও ৩৭৯ অনুযায়ী।
বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
তদন্তের অগ্রগতি
সিআইডির একটি বিশেষ টিম মামলার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ে কাজ করছে।
তবে তদন্তের জটিলতা এবং বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগজনিত কারণে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে বিলম্ব হচ্ছে।
আদালত সিআইডিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
সূত্র: আদালত প্রতিবেদক, সিআইডি সদর দপ্তর

