“পূর্ব আলোচনা ছাড়াই ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত, চাপের মুখে পড়বে শিল্প”
অর্থবছরের মাঝপথে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর চাপের কারণে ৬৫টি পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, সাবান, মিষ্টি ইত্যাদি পণ্যগুলির ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে এবং শিল্প খাত নতুন করে চাপে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে এই কর বৃদ্ধি শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, যার আওতায় তৈরি পোশাক, মিষ্টি, এসি রেস্তোরাঁ, নন-এসি হোটেলসহ ৬৫ ধরনের পণ্য ও সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানো হতে পারে।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, পূর্ব আলোচনা ছাড়াই এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেছেন, “রেস্তোরাঁ মালিকেরা উদ্বিগ্ন, এক ধাক্কায় ভ্যাট তিন গুণ বাড়ানো হলে ব্যবসায় ভয়াবহ প্রভাব পড়বে।” তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, আইএমএফের পরামর্শে ব্যবসায়ীদের পথে বসানোর পাঁয়তারা চলছে।
এছাড়া, তৈরি পোশাক, মিষ্টি, বিস্কুট, আচার, ট্রান্সফরমার, টিস্যু পেপার সহ অন্যান্য খাতেও ভ্যাটের হার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনকি, ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্ড এবং আকাশপথের ভ্রমণ খরচেও ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, “এটা চাপেই করতে হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাজারে ভ্যাট বাড়ানো ভোক্তা ও উৎপাদক পর্যায়ে বাড়তি চাপ তৈরি করবে।” তাঁর মতে, “যতটা সম্ভব পরোক্ষ কর না বাড়িয়ে, প্রত্যক্ষ করের আওতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত ছিল।”