
পদ্মা নদীতে বালু লুট: কালের কণ্ঠের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালতের তদন্ত নির্দেশ
ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। শুক্রবার (২১ মার্চ) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আমলযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হলেও এ বিষয়ে কোনো মামলা না হওয়ায় আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লিখিত ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে।
উল্লেখ্য, ১৬ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়—ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা নদীর মেঘুলা, নারিশা ও মুকসুদপুর এলাকায় রাত গভীর হলেই শুরু হয় অবৈধ বালু উত্তোলনের কার্যক্রম। প্রায় ৪-৫টি কাটার মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে, যা স্থানীয় বেড়িবাঁধ ও জনপদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ধরনের বালু লুটের কারণে নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছেন পদ্মাপাড়ের অন্তত দুই শতাধিক পরিবার।
এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এখন পিবিআই তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।