
পটুয়াখালীতে ডেঙ্গু কাড়ল আরো ২ প্রাণ
পটুয়াখালী, ডেঙ্গু মৃত্যু, মহিপুর, লতাচাপলী — পটুয়াখালীর মহিপুর থানা এলাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে, যার ফলে এক মাসে এ অঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৮ জনে পৌঁছেছে।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন—
শিশির দাস (৪২), মহিপুর বাজারের দর্জি দোকানদার
উবাচো রাখাইন (৫০), লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী
চিকিৎসায় বিলম্ব
তারা কয়েক দিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু সোমবার রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়, জানালেন লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার।
অতিরিক্ত মৃত্যু
এছাড়া লতাচাপলী ইউনিয়নের সুমাইয়া (২৫) নামের এক নারী, যিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১২ অক্টোবর মারা যান, তাঁর মৃত্যুর আগে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। একই দিন মহিপুর থানার নজিবপুর গ্রাম থেকে সাফিয়া বেগম (৩০) নামের এক নারী মারা যান।
পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ
এদিকে, আলীপুরে একই পরিবারের তিনজন ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে মহিপুরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে।
ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের নুরজামাল ফকির ও মিশ্রীপাড়া গ্রামের হাবিব ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়াও গত ১৩ অক্টোবর একই এলাকার আরো দুইজনের মৃত্যু হয়।
বর্তমানে, কুয়াকাটা ২০ শয্যার হাসপাতাল ও কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এই অঞ্চলে শতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।
প্রশাসনিক উদ্যোগ
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী জানান,
“মহিপুরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। স্থানীয় পর্যায়ে জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে।”
এছাড়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওসার হামিদ বলেন,
“ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ফগার মেশিনে স্প্রে করা হচ্ছে এবং ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে বাড়িঘর ও আশপাশ পরিষ্কার রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
সূত্র: স্থানীয় সংবাদ, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন

