নাজির স্বপ্ন ছিল ‘রোনালদো’ হওয়ার, গুলি করে মারল ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে, ১৪ বছর বয়সী কিশোর নাজি আল বাবার স্বপ্ন ছিল বড় ফুটবলার হওয়ার—রোনালদো হতে চেয়েছিল সে। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর আঘাতে তার সেই স্বপ্ন পূর্ণ হতে দেয়নি। গত ৩ নভেম্বর, দিন-দুপুরে ইসরায়েলি সেনারা নাজিকে গুলি করে হত্যা করে।
নাজি ছিল হাস্যোজ্জ্বল, শান্তশিষ্ট এবং সহানুভূতিশীল। ফুটবল ছিল তার প্রিয় খেলা। হেব্রনের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত হালহুলের স্পোর্টস ক্লাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন করত সে, স্কুল শেষে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলত। তার স্বপ্ন ছিল বড় ফুটবলার হওয়া, কিন্তু সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে।
নাজির বাবা, নিদাল আবদেল মতি আল-বাবা, ৩ নভেম্বর সকালে কাজের জন্য বের হওয়ার সময় তার ছেলে স্কুলে ছিল। দুপুরে যখন তিনি বাড়ি ফিরছিলেন, নাজি তাকে ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছিল। এরপর নাজি ফুটবল খেলতে বের হয়, কিন্তু কিছু সময় পরেই খবর আসে যে সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালিয়েছে এবং নাজি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
নাজির বাবা ও চাচা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, ইসরায়েলি সেনারা নাজির মরদেহের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল। সেনারা তাদের ওপর আক্রমণ করে এবং ৪০ মিনিট ফেলে রাখে, তারপরে নাজির মরদেহ সংগ্রহ করা হয়। ফরেনসিক রিপোর্টে দেখা যায়, নাজির শরীরে চারটি গুলি ছিল—একটি পেলভিসে, একটি পায়ে, একটি কাঁধে এবং চতুর্থ গুলি তার হৃদপিণ্ডে প্রবাহিত হয়।
নাজির পরিবার এখনও তার হারানো প্রিয় সন্তানকে স্মরণ করে। তার মৃত্যুতে হালহুল শহরে হাজারো মানুষ শোক প্রকাশ করেছে। ইসরায়েলি বাহিনী এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে পরিবার এবং কমিউনিটি তার স্মৃতি চিরকাল মনে রাখবে।
Sources: Al Jazeera, BBC