নগরজুড়ে ডিস-ইন্টারনেট তারের জঞ্জাল, দুর্ঘটনার শঙ্কা
রংপুর নগরীর প্রধান সড়ক, পাড়া-মহল্লা সর্বত্র টেলিফোন, ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভির তারের বিশৃঙ্খল অবস্থায় ঝুলে থাকার কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়ছে। বিদ্যুতের ঝুঁকিপূর্ণ সংযোগের সঙ্গে এসব তারের জটলা মাঝে মধ্যেই শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন ধরিয়ে ভিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। নগরবাসী এসব তার মাটির নিচ দিয়ে স্থাপন করার দাবি জানাচ্ছে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পর এ বিষয়ে নতুন করে ভাবনা শুরু হয়েছে। রংপুরের বিভিন্ন সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে অপরিকল্পিতভাবে ঝুলছে ইন্টারনেট ও ক্যাবল সংযোগ। প্রধান সড়কগুলোর পাশাপাশি পায়রা চত্বর, জাহাজ কম্পানি, সেন্ট্রাল রোড, প্রেসক্লাব এলাকা, এবং সুপার মার্কেটের মতো স্থানে তারের জট বেশি।
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা এই তারের জট জনজীবনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। বিদ্যুৎ খুঁটিতে চাপ বেশি পড়ায় অনেক স্থানে তা হেলে পড়ছে। মাটির নিচ দিয়ে তারগুলো স্থাপন করা হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে।
রংপুর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব পলাশ কান্তি নাগ জানান, “মাঝেমধ্যে তার ছিঁড়ে সড়কে পড়ে থাকে, এমনকি আগুন ধরে যায়। এই পরিস্থিতি নগরবাসীর জন্য আতঙ্কের। সিটি করপোরেশন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।”
রংপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক বাদশা মাসুদ আলম বলেন, “অপরিকল্পিত তারের কারণে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। এ বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।”
নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম মণ্ডল জানান, “ইন্টারনেট ও ক্যাবল সংযোগ থেকে প্রায়ই ছোটখাটো অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বিদ্যুতের লোড বাড়লে শর্ট সার্কিট থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি সিটি করপোরেশনকে জানানো হবে।”
এ বিষয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।