দেশের ৪৩ শতাংশ বাস চলাচলের অনুপযোগী
সারা দেশের সড়ক থেকে পুরনো এবং অচল বাস সরানোর সরকারি উদ্যোগ বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনার পরও লক্কড়ঝক্কড় বাসের আধিপত্য কমছে না।
২০২৩ সালের জুনে বাসের আয়ুষ্কাল ২০ বছর নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবহন মালিকদের চাপে তা স্থগিত হয়। পরবর্তী সময়ে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া যায়নি। বিআরটিএ’র হিসাব অনুযায়ী, দেশে মোট নিবন্ধিত বাসের মধ্যে প্রায় ৪৩ শতাংশই চলাচলের অযোগ্য।
পুরনো বাস সরানোর পরিকল্পনা
সরকার একাধিকবার পুরনো বাস সরিয়ে নতুন বাস চালুর জন্য পরিবহন মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছে। সর্বশেষ গত অক্টোবর মাসে ছয় মাসের মধ্যে পুরনো বাস সরানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে পরিবহন মালিকদের সহযোগিতা এবং সমন্বয়হীনতার অভাবে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
বাসের বর্তমান চিত্র
বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত বাসের সংখ্যা ৫৫,৭২১ এবং মিনিবাসের সংখ্যা ২৮,৪৩৩। এর মধ্যে ৩৫,৭৮২টি বাস ২০ বছরের পুরনো। ঢাকার নিবন্ধিত বাস-মিনিবাসের মধ্যে প্রায় ১৪,৬১০টি ২০ বছরের বেশি পুরনো।
সমন্বিত উদ্যোগের অভাব
ঢাকায় বাস চলাচল নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা যেমন নির্দিষ্ট রুটভিত্তিক কোম্পানি পরিচালনা ও যাত্রী সেবার মানোন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
স্ক্র্যাপ নীতিমালা ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ
২০২৩ সালে সরকার “মোটরযান স্ক্র্যাপ নীতিমালা” চূড়ান্ত করে পুরনো বাস ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু পরিবহন মালিকদের চাপে সেই উদ্যোগ স্থগিত করা হয়।
সমাধানের প্রস্তাব
পরিবহন মালিকরা বলছেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাস কেনার জন্য সহজ শর্তে ঋণ এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে সড়কে নতুন ও মানসম্পন্ন বাস চালু করা সম্ভব।
সরকার এবং পরিবহন মালিকদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং কার্যকর নীতিমালার অভাবে পুরনো বাস সমস্যার সমাধান বিলম্বিত হচ্ছে।