
টঙ্গী ফ্লাইওভারে ছিনতাইয়ে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির
টঙ্গীতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী ফ্লাইওভার এলাকায় নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে টঙ্গী ফ্লাইওভারে ছিনতাই আর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ছিনতাই নিয়ে পথচারীদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর বাটাগেট এলাকায় ফ্লাইওভারের সিঁড়িতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)।
নিহত সিদ্দিকুর রহমান বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার গাজীপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। তিনি টঙ্গীর মধুমিতা রোডের ‘আপন নীড়’ নামে একটি বাসায় পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটার তৈরির কারখানায় স্টোর অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালেও তিনি টঙ্গীর বাসা থেকে কর্মস্থল কেরানীগঞ্জের উদ্দেশে বের হন। টঙ্গী ফ্লাইওভারের সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হঠাৎ একদল ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে সাথে থাকা মালামাল ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সময় আশপাশে থাকা কেউই তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে আসেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় সিদ্দিকুর রহমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরে একাধিক স্থানে রক্তাক্ত ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহতের ছোট ভাই ইদ্রিসুর রহমান বলেন, ‘আমার বড় ভাই প্রতিদিনের মতো কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। টঙ্গী ফ্লাইওভারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতেই তিনি মারা গেছেন। আমরা এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার চাই।’
টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুর রহমান জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। টঙ্গীতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

