
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মামলায় সাবেক পুলিশ পরিদর্শক শেখ সিরাজুলের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক পরিদর্শক শেখ সিরাজুল ইসলামকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত। একই সঙ্গে তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) যশোরের বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) এসএম নূরুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, সাজাপ্রাপ্ত শেখ সিরাজুল ইসলাম বর্তমানে পলাতক।
শেখ সিরাজুল ইসলাম যশোর নতুন উপশহরের এ ব্লকের বাসিন্দা এবং ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট পুলিশের তৎকালীন ডিআইও (ডিস্ট্রিক্ট ইনটেলিজেন্স অফিসার) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক একাধিকবার নোটিশ পাঠায়। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ না করে নোটিশগুলো ফেরত পাঠান এবং পরে পদোন্নতি নিয়ে ঝিনাইদহে চলে যান।
২০০০ সালের ১১ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন উপপরিচালক এম এ সোহবান যশোর কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ শেখ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
তদন্তে নামে-বেনামে প্রায় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযুক্ত শেখ সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে মামলার মুখোমুখি না হয়ে আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়ে চলেছেন। রায়ের পর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে।