
জান্নাতে আল্লাহর দিদার লাভের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ আমল
সংবাদ:
পরকালীন জীবনে আল্লাহ তাআলার দিদার লাভ করা মুমিনদের জন্য এক অনন্য সৌভাগ্যের বিষয়। জান্নাতের অফুরন্ত নি’আমতের মাঝে আল্লাহর দিদার হবে এমন এক আনন্দের মুহূর্ত, যা জান্নাতবাসীদের অন্য সব আনন্দকে ম্লান করে দেবে। কুরআন ও হাদিসে এই মহান নিয়ামত লাভের জন্য কিছু আমলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চলুন, জান্নাতে আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ আমল জেনে নেওয়া যাক—
১. ঈমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ:
মুমিন হিসেবে মৃত্যু হওয়াই দিদার লাভের প্রথম শর্ত। কোরআনে বলা হয়েছে, “না, বরং সেদিন তারা তাদের প্রতিপালকের দিদার থেকে বঞ্চিত থাকবে।” (সূরা মুতাফফিফীন : ১৫)। অর্থাৎ, কাফিররা আল্লাহর দিদার থেকে বঞ্চিত হবে, কিন্তু মুমিনদের জন্য থাকবে এই বিশেষ পুরস্কার।
২. দোয়ার মাধ্যমে দিদারের আকাঙ্ক্ষা:
আল্লাহর কাছে দিদার লাভের জন্য দোয়া করা অন্যতম আমল। হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর দিদার চেয়ে একটি দোয়া করতেন:
“হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে জান্নাতে তোমার দিদার লাভের আবেদন করি…” (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১৩০৫)
৩. ফজর ও আসরের নামাজের গুরুত্ব:
এই দুটি নামাজের নিয়মিত আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর দিদারের সৌভাগ্য লাভ সম্ভব। রাসুল (সা.) বলেন, “তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাবে যেমন পূর্ণিমার চাঁদকে দেখে থাকো…” (বুখারি : ৫৫৪)
৪. গুনাহ থেকে বিরত থাকা:
গোনাহ থেকে বিরত থাকা দিদার লাভের পথে এক বড় প্রস্তুতি। রাসুল (সা.) বলেন, “আল্লাহ কিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদের পবিত্র করবেন না…” (সহিহ মুসলিম : ১৯৪)
৫. আল্লাহর সাক্ষাতের আকাঙ্ক্ষা:
হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাত পছন্দ করে, আল্লাহও তার সাক্ষাত পছন্দ করেন।” (বুখারি : ৬৫০৭)
৬. ইহসান বা সৎকর্ম:
ইহসান অর্থাৎ ভালো কাজ ও মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকাও দিদার লাভের এক শক্তিশালী মাধ্যম। ইমাম জুরজানি (রহ.) বলেন, “ইহসান হলো এমন কাজ, যা দুনিয়ায় প্রশংসিত এবং আখিরাতে সওয়াবের কারণ।”
উপসংহার:
আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের সবাইকে জান্নাতবাসী করে তাঁর দিদার লাভের তাওফিক দান করেন—আমিন।