কক্সবাজার সৈকতে ৫০ ফুট উচ্চতার ‘প্লাস্টিক দানব’ জনসচেতনতায়

কক্সবাজার সৈকতে ৫০ ফুট উচ্চতার ‘প্লাস্টিক দানব’ জনসচেতনতায়

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছে ৫০ ফুট উঁচু ও ১৪ ফুট প্রস্থের একটি বিশাল ‘প্লাস্টিক দানব’। এটি তৈরি হয়েছে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে। দানবের পাশেই আরও দুটি ছোট দানব স্থাপন করা হয়েছে, যা দেখে সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটক ও স্থানীয়রা হতবাক।

সমুদ্র দূষণ এবং প্লাস্টিক বর্জ্যের ভয়াবহতা তুলে ধরে জনসচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এ উদ্যোগ নিয়েছে। কক্সবাজার, উখিয়ার ইনানী, রামু এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে সংগৃহীত ১০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে এ দানব তৈরি করা হয়েছে। এই দানবের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে, প্লাস্টিক যদি পুনঃব্যবহার বা রিসাইকেল না করা হয়, তা দানবের মতো বড় বিপদ হয়ে ফিরে আসবে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ সমুদ্র এবং জনজীবনের জন্য দানবীয় বিপদ ডেকে আনছে। এই ভাস্কর্য প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করবে।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য জামাল উদ্দিন জানান, প্রায় এক মাস ধরে প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোরের মাধ্যমে ১০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে এই দানব তৈরি করা হয়েছে। এটি ৪ মাস ধরে উন্মুক্ত প্রদর্শনীর জন্য থাকবে।

কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটক শামীম হাসান বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় এটি দারুণ একটি উদ্যোগ। এমন উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দিলে দূষণ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”

আয়োজকদের আশা, এ ধরনের উদ্যোগ পরিবেশ সুরক্ষায় জনসচেতনতা তৈরি করে সবার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সহায়তা করবে।

CATEGORIES
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )