
ইসরায়েলের কাছে ৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও বুলডোজার বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের যুদ্ধাস্ত্র, বুলডোজার ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ২.০৪ বিলিয়ন ডলারের বোমা বডি ও ওয়ারহেড, ৬৭৫.৭ মিলিয়ন ডলারের অন্যান্য বোমা বডি ও নির্দেশিকা কিট এবং ২৯৫ মিলিয়ন ডলারের বুলডোজার বিক্রির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
ডিএসসিএ আরও জানায়, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ইসরায়েলের কাছে প্রতিরক্ষাসামগ্রী ও পরিষেবা অবিলম্বে বিক্রি করা জরুরি বলে মনে করেছেন রুবিও।” ফলে, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই এই অস্ত্র বিক্রি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
ডিএসসিএ বলেছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” এর আগে, এই মাসের শুরুতে ওয়াশিংটন ইসরায়েলের কাছে ৭.৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং সম্পর্কিত সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দেয়।
গাজা যুদ্ধ ও অস্ত্র বিতর্ক
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলের আক্রমণে গাজার অধিকাংশ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের বড় অংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
যদিও গত মাস থেকে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে, তবে ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক কার্যক্রম এখনো অব্যাহত আছে।
বেসামরিক হতাহতের কারণে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গত বছর ইসরায়েলে ২,০০০ পাউন্ড ওজনের বোমার চালান আটকে দেয়। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন এবং নতুন অস্ত্র চুক্তির মাধ্যমে এই আকারের বোমাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই অস্ত্র বিক্রির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত গাজার মানবিক সংকটের মধ্যে ইসরায়েলের কাছে আরও অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সূত্র: এএফপি