
‘ইয়েলো পার্সন’ কারা? জীবনে রোদ হয়ে আসা সেই মানুষটি কে?
হলুদ শুধু একটি রং নয়—এটি জীবনের উষ্ণতা, আনন্দ, নির্মলতা ও আশাবাদের প্রতীক। আর এসব গুণ যদি কোনো একজন মানুষের মাঝে প্রতিফলিত হয়, তাহলে তাকেই বলা হয় ‘ইয়েলো পার্সন’।
এই মানুষটিই জীবনের ঝড়-তুফানে দাঁড়িয়ে বলেন, “চিন্তা কোরো না, সব ঠিক হয়ে যাবে।” যার হাসিতে থাকে রোদেলা দুপুরের মতো প্রশান্তি। যার পাশে থাকলে মনের ভার গলে যায়, মন হালকা হয়।
ইয়েলো পার্সনরা হয় প্রাণবন্ত, ইতিবাচক এবং এমন এক পরিবেশ তৈরি করেন যেখানে মানুষ নিজেকে নিরাপদ মনে করে। তারা বোঝান—ভালোবাসা মানে শুধু অনুভব নয়, বরং শান্তি, সম্মান ও ভারসাম্য।
বর্তমান প্রজন্মের কাছে ‘ইয়েলো পার্সন’ শুধু একটি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ড নয়, বরং এটি একধরনের গভীর মানসিক সংযোগ ও ভালোবাসার রূপ। তাই প্রিয়জনদের সূর্যমুখী ফুলের মতো ছবি বা বার্তার মাধ্যমে ভালোবাসা জানানোর রীতি এখন বেশ প্রচলিত।
গবেষণা বলছে, ইতিবাচক সম্পর্ক শুধু মানসিক প্রশান্তিই দেয় না, এটি শরীরেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। কমে যায় মানসিক চাপ, বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস পায়।
তবে মনে রাখতে হবে, ‘ইয়েলো পার্সন’-রাও রক্ত-মাংসের মানুষ। সবসময় হাসিখুশি থাকা, আশার আলো ছড়িয়ে দেওয়া তাদের পক্ষেও সব সময় সম্ভব নয়। তারাও ক্লান্ত হন, ভেঙে পড়েন। তাই তাদেরও প্রয়োজন ভালোবাসা, বিশ্রাম ও বোঝাপড়ার।
তাই যদি জীবনে এমন একজন থাকেন, যিনি ঝড়ের দিনে আলো হয়ে পাশে থাকেন, তাকে ধরে রাখুন। কারণ এমন মানুষ জীবনে খুব কমই আসে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে