
আখের রস কি সবার জন্য উপকারী? কারা এড়িয়ে চলবেন এই গ্রীষ্মের পানীয়
গ্রীষ্মের দাবদাহে এক গ্লাস ঠাণ্ডা আখের রস যেন প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানে ভরপুর এই রস শরীরকে রাখে হাইড্রেটেড এবং ক্লান্তি দূর করে বাড়ায় এনার্জি। কিন্তু সব উপকারী খাবারেরই কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ঠিক তেমনই আখের রসও সবার জন্য উপযোগী নয়। বিশেষ কিছু শারীরিক অবস্থায় এটি খেলে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে।
চলুন জেনে নিই, কারা আখের রস থেকে দূরে থাকবেন—
ওজন কমাতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা:
আখের রসে প্রাকৃতিক চিনি ও উচ্চ ক্যালোরি থাকে। নিয়মিত পান করলে ওজন বাড়তে পারে, বিশেষ করে পেটের চর্বি জমার আশঙ্কা থাকে। তাই যারা ডায়েট করছেন বা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের এই পানীয় গ্রহণে সতর্ক থাকা উচিত।
পেটের সমস্যায় ভোগা রোগীরা:
আখের রসে থাকা পলিকোসানল নামক উপাদান হজমপ্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। এতে হতে পারে পেট ব্যথা, গ্যাস, বমি, এমনকি ডায়েরিয়ার মতো সমস্যা। ফলে পেট সংবেদনশীল ব্যক্তিদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রস পান করা উচিত।
ডায়াবেটিক রোগীরা:
আখের রস গ্লুকোজসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি রক্তে চিনি দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য এই পানীয় একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষায় এ রস এড়িয়ে চলা জরুরি।
দাঁতের সমস্যা যাদের রয়েছে:
দাঁত ব্যথা, মাড়ির রোগ বা ক্যাভিটির ঝুঁকি থাকলে আখের রস ক্ষতি করতে পারে। এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি মুখে ব্যাকটেরিয়ার সক্রিয়তা বাড়িয়ে দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য খারাপ করে দিতে পারে।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীরা:
এই সময়ে যেকোনো খাদ্য গ্রহণে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। আখের রস রক্তে চিনি বাড়াতে পারে, এমনকি কিছু ওষুধের প্রভাবও কমিয়ে দিতে পারে। তাই এই অবস্থায় আখের রস খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
উপসংহার:
আখের রস যতটা উপকারী, কিছু শারীরিক শর্তে ততটাই ক্ষতিকর হতে পারে। তাই নিজের স্বাস্থ্যের অবস্থা বুঝে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই রস গ্রহণ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: আজকাল