অভিশংসিত হওয়ার পর এবার গ্রেপ্তারের ঝুঁকিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবার গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। দেশটির যৌথ তদন্ত ইউনিট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির অনুরোধ জানিয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় একজন কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।
তদন্ত এবং অভিযোগ:
ইওলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করা হলেও তিনি তা উপেক্ষা করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মূল কেন্দ্র সামরিক আইন জারির বিষয়টি, যা দেশদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়তে পারে। দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা এবং পুলিশের যৌথ তদন্ত চলছে এ নিয়ে।
রয়টার্স জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনো বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হলো। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে আদালত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।
আইনি বিতর্ক:
ইওলের আইনজীবী ইউন কাব-কেউন দাবি করেছেন, বিদ্রোহের অভিযোগ তদন্ত করার এখতিয়ার দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার নেই। তবে তার বক্তব্য নিয়ে রয়টার্স যোগাযোগ করলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
সামরিক আইন জারি এবং অভিশংসন:
চলতি মাসের শুরুতে ইওলের সামরিক আইন জারি করার সিদ্ধান্ত জাতিকে হতবাক করে। এর ফলে তিনি অভিশংসিত হন।
বর্তমানে তার পুনর্বহাল বা স্থায়ী অপসারণ নির্ভর করছে সাংবিধানিক আদালতের ওপর। আদালত এই সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য ১৮০ দিন সময় পাবে।
আদালত প্রক্রিয়া:
গত শুক্রবার মামলার প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ইওলের আইনজীবীরা শুনানি স্থগিতের আবেদন করলেও আদালত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
পরিস্থিতির গুরুত্ব:
ইওলের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রকৃতি এবং আদালতের সিদ্ধান্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতি এবং আইনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।